দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতিতে মৃত (ব্রেইন ডেড) মানুষের কিডনি অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী মো. মাসুমের কিডনি দুইজন কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দুইটি কিডনির মধ্যে একটি প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি একটি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আরেক জনের দেহে প্রতিস্থাপন করা হবে। বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুব্রত মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিএসএমএমইউয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয়েছে। পুরোপুরি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সময় লাগবে সাড়ে চার ঘণ্টার মতো। মো. মাসুমের একটি গ্রহণ করেন রাজধানীর মহাখালী এলাকার ৪৯ বছর বয়সী মোসাম্মৎ তাহমিনা ইয়াসীন।
এর আগে, গত বছরের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজন মৃত মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা অন্য দুইজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুইজন নারীর শরীরে। এছাড়া, সারাহের চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় আরও দুইজনকে।