ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেন অন্তত ২-৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। এতে সময় ক্ষেপণের মতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা রেলেওয়ে স্টেশনের অনবোর্ড স্ক্রিনে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে দেখা যায়, রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায়নি; সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ভোর সাড়ে ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি; চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৮) সকাল ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি।
সাড়ে ৮টার সময় দেখা যায়, কিশোরগঞ্জগামী এগার সিন্দুর প্রভাতী (৭৩৭) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি; দেওয়ানগঞ্জ বাজারগামী তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭) সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি; মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার (৪৩) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু সেটি ছাড়েনি। এদিকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী (৭০৪) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ঢাকা ছাড়ে ৮টা ২৫ মিনিটে।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে দেখা যায়, মহুয়া কমিউটার তখনও ছাড়েনি। রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১) ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি; ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার (৩৪) ৯টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি। অন্যদিকে ৩৫ মিনিট বিলম্বে ঢাকা ছাড়ে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস (৭০৫)।
এরপর থেকে প্রায় প্রতিটি ট্রেনই ঘণ্টাখানেক বিলম্ব নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রেনগুলো ঢাকায় দেরিতে পৌঁছেছে বলে দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিশেষ কোনো কারণ নেই।
এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ দেখিয়ে রাতে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে রেখে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী সই করা এক পত্রে বিষয়টি জানা যায়।
তাতে বলা হয়, চলমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য পূর্বাঞ্চলের ৯টি সেকশনে নিয়মিত ট্র্যাক পেট্রোলিং করতে হবে। একইসঙ্গে রাত্রিকালীন সময়ে অর্থাৎ রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচলরত ট্রেনগুলো নিয়ন্ত্রিত গতিতে অর্থাৎ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।