আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

জমিতে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে হাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে থানায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আসকর আলী সিকদার ওরফে আনফর আলী।
আসকর আলি অভিযোগ করেন, আমার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত ভূমিতে হাফিজুর রহমান গংরা পূর্ব শত্রুতাবশত : লোভ লালসার স্বীকার হয়ে ধর্মকে পুঁজি করে আমার জমি দখল করতে সেই জায়গাতে অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণ করছেন, মসজিদের আশেপাশে রয়েছে আমার ক্রয়কৃত ভূমি। মূলত বিবাদীরা আমার নামীয় জমি দখল করতেই রাস্তার পাশের প্রথম অংশেই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। আমি তা বুঝতে পেরে আইনের আশ্রয় নিই এবং তার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করি (মামলা নম্বর-৪৩/২০২০)। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২২ সালের ০১ ডিসেম্বর মামলার রায় হয়। রায়ে তপশিল বর্ণিত ভূমিতে ১নং বিবাদী যেন ২নং মোকাবিলা বিবাদির কলেজ মসজিদ নাম করণীয় কোন স্থাপনা নির্মাণ কিংবা নালিশা ভূমির আকৃতি প্রকৃতি পরিবর্তন করতে না পারে সেই মর্মে ১নং বিবাদির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ডিক্রি সহ নালিশা তপশিল বর্ণিত ২১০১ দাগের শতাংশে বিবাদী কর্তৃক জোর পূর্ব নির্মিত বেইচ ঢালাই ১১ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন যে পিলার নির্মাণ করেছে তাহা অপসারণ পূর্বক পূর্বাবস্থায় ফিরাইয়া দেওয়ার জন্য । এ রায় ঘোষণা করেন সিলেটের কাইনাইঘাট আদালতের সহকারী জজ সোহেল উদ্দিন খোকন। তারপরও আমার জমিতে বিবাদিরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, সিলেটের কাইনাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ময়না গ্রামের রাজাগঞ্জ মৌজার ৪০৬ নম্বর খতিয়ানের ২১০১, ২৭৫, বিএস ২১০১, ১০০০ ও বিএস ২১০৫,০৪৪০ দাগের ০.৮৬৬ শতাংশ জমির ওয়ারিশি ও ক্রয় সূত্রে মালিক আসকর আলী সিকদার ওরফে আনফর আলী। এ নিয়ে ২০২০ সালে সিলেটের কাইনাইঘাট আদালতে হাফিজুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেন আসকর আলী সিকদার ওরফে আনফর আলী (মামলা নম্বর-৪৩/২০২০)।
তিনি অভিযোগ করেন, রায় পাওয়ার পরও তারা কাজ চলমান রাখেন। পরবর্তীতে আমার মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ঢাকা কর্তৃক সিভিল রিভিশন মোকাদ্দমা দাখিল করা হয় (নং-৬৫৫৪/২০২৩)। এরপর হাইকোর্ট রায় দেয়, ভূমি সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি না হওয়ার পর্যন্ত উভয় পক্ষকে ৬ মাসের জন্য স্থিতাবস্থা রাখার নির্দেশ দেন। এরপরও ভূমিখেকো ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোকেরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমি আইনজীবীর মাধ্যমে থানায় লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছি।
এ বিষয়ে হাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয় টা সত্য আর তারা সম্পর্কে আমার মামা হন বিষয় টা আমরা শেষ করার চেষ্টা করছি। মহামান্য হাইকোর্টের ৬ মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশের কথা বললে হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা নোটিশ হাতে পেয়েছি কোর্টের মাধ্যমে তা মোকাবেলা করব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাইনাই ঘাটথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসনে সরদার বলেন, আমরা আইনজীবীর নোটির পাওয়ার পর হাফিজুর রহমানকে অবহিত করণ নোটিশ পাঠিয়েছি। এরপর যদি কাজ করান তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *