সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচি ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে ২২১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করা হয়েছে, যা গত মৌসুমের চেয়ে ২৬ হেক্টর বেশি।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলায়, ১০৮ হেক্টর জমিতে। এছাড়া রংপুরে ৪৩ হেক্টর, গাইবান্ধায় ৬৯ হেক্টর ও নীলফামারীতে ১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করা হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সূর্যমুখী সাধারণত সব মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে, দোআঁশ মাটি সূর্যমুখী চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। সূর্যমুখীর বীজে লিনোলিক এসিড ও উন্নতমানের তৈল থাকে, যা হৃদরোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
এছাড়া সূর্যমুখীর তেলের রয়েছে নানাবিধ ঔষধি গুণ। সূর্যমুখীর খৈল গোরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সূর্যমুখীর গাছ ও পুষ্পস্তবক জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।