সিলেটের উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের জন্য একজন সঠিক নেতা খুঁজে এনেছেন। সিলেটের মানুষ মেয়র হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নির্বাচিত করায় এই সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
তার কাজ করার মানসিকতা রয়েছে। তিনি কাজ করতে পারবেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নগরের দক্ষিণ সুরমার একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে সিসিকের উদ্যোগে তাকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মধ্যখানে স্বাধীনতাবিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসায় উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া অনেকগুলো প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেগুলো শুরু করেছে। এর উপকার এদেশের মানুষ ভোগ করছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. নোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ও সংস্কৃতিকর্মী রজত কান্তি গুপ্ত ও রুহেনা সুলতানা দিপুর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিকের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন। আরও বক্তব্য দেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নোবেল, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল, ইমজার সভাপতি সজল ছত্রী।
এরআগে, মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
এরপর সিলেটে দিনের শুরুতেই মন্ত্রী সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেন। পরে তিনি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি করপোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সিসিকের এম.আর.এফ প্ল্যান্ট পরিদর্শন ও ফলক উন্মোচন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন, আরবান রেসিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন ও জালালাবাদ পার্কে সিসিক কর্তৃক আয়োজিত বসন্ত উৎসবেও যোগ দেন।