সিলেট নগরের পাঠানটুলায় অবস্থিত নর্থ-ইস্ট পেট্রোল পাম্পে ট্যাংক লরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পাঁচজনের অবস্থাই ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় যে দু’জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে তাদের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া শ্বাসনালির কিছু অংশ পুড়ে গেছে। অন্য তিনজনের মধ্যে দু’জনের শরীরের বিভিন্ন অংশের ৩০ ভাগ ও একজনের ২৮ ভাগ পুড়ে গেছে।
দগ্ধরা হলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মো. মতি মিয়া (৬০), রজনী চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।
এদের মধ্যে ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া (৩৫) ও মিছির আলীর ছেলে মতি মিয়ার (৬০) অবস্থার অবনতির কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, অগ্নিদগ্ধ সবাই সিলেট সিটি করপোরেশনের ডে লেভার হিসেবে ড্রেন খননের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।