৭ জানুয়ারির যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

যারা আজকে আমাদের বিরোধিতা করছে, সেই আমেরিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তারা ৭ম নৌবহর পাঠিয়েছিল। যাতে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারি। সেদিন ’৭১-এর যুদ্ধ ছিল একটা। আজকেও কিন্তু আরেকটা যুদ্ধ ৭ তারিখে। এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের পীরগাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যুব-তারুণ্যের সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমেরিকা চ্যালেঞ্জ করে বলেছে, এই ভোটে মানুষের উপস্থিতি হবে না, মানুষ ভোট দিতে যাবে না। তাদের চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এই যুদ্ধটা একই পরাশক্তি আমেরিকা, একই শক্তি জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ এসেছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইলে অবশ্যই নৌকাকে জেতাতে হবে। শুধু জিতলেই হবে না। গতবারের চেয়ে বেশি ভোটে জিততে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি একাত্তর সালে যখন যুদ্ধে গিয়েছিলাম, তখন আমার বয়স ছিল ২১ বছর। তখন যারা যুদ্ধে গিয়ে প্রায় সকলের বয়স ১৮ হতে ২৬ বছর ছিল। এ কথা বলা এই জন্য, এই পৃথিবীটা বদলে দিতে পারে যুবকরা। বয়স তাদের এমন, বদলে দেওয়ার ক্ষমতাটা তাদের। অনেক আগে একটা ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। ছবিটার নাম ছিল হর্নেস্ট নেস্ট। সেই ছবিতে এক জায়গায় বলা হয়েছিল, ৫টা যুবকের সামনে যদি একটা বল দেওয়া হয় তাহলে তারা শ্রেষ্ঠ খেলা উপহার দেবে। আর যদি একটা গ্রেনেড দেওয়া হয় তাহলে তারা পৃথিবী উল্টে দেবে। এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। তারা এই ভোট নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি করছে। তিন দিন আগে তারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও তিন বছরের বাচ্চাকে একসঙ্গে পুড়িয়ে মেরেছে। ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য তারা কয়দিন ধরে লিফলেট বিতরণ করছে। তাদের এই দূরভিসন্ধি নস্যাৎ করতে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

আরো পড়ুন  সিলেটে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুল বাসে আগুন

টিপু মুনশি বলেন, টানা পনেরো বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এটা কারও কারও চোখে ভালো লাগছে না। জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। আজকের বাংলাদেশ, ভারতের থেকে মাথাপিছু আয় বেশি, গড় আয়ু বেশি। আশপাশের সবগুলো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে।

সমাবেশে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুল হক লিটনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাছিমা জামান ববি, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, রংপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষীন চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হোসেন লিটন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *