ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক শহরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মার্কিন হামলায় নিহতরা ইরান-সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য বলে সোমবার ইরাকের তিনটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
দেশটিতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরক বোঝাই প্রোজেক্টাইল হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ওই মিলিশিয়াদের অবস্থান লক্ষ্য করে রোববার বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ইরাকের এমন কয়েকটি মিলিশিয়াগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ইসলামিক রেসিস্ট্যান্ট ইন ইরাকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিরকুকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তাদের অন্তত পাঁচ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। দেশটিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
একই দিন ইরাকজুড়ে মার্কিন সৈন্যদের অবস্থানে একাধিকবার হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসলামিক রেসিস্ট্যান্ট ইন ইরাক। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রুমালিন এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর দফায় দফায় রকেট হামলা হয়েছে। তবে এসব হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় ওয়াশিংটন সমর্থন জানানোর পর গত ১৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইরাকের সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো দেশটিতে মার্কিন সৈন্যদের লক্ষ্য করে ৭০ বারের বেশি হামলা চালানোর দাবি করেছে।
তবে হামাস-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির সময় মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রেখেছিল ইরাকি মিলিশিয়ারা। যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় ইসরায়েলের হামলা পুনরায় শুরু হওয়ায় মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে ইরাকি মিলিশিয়াগোষ্ঠীগুলো।
সিরিয়া এবং ইরাকের বিশাল এলাকা দখলে নিয়ে ইসলামি খেলাফত ঘোষণা করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর হামলায় সিরিয়া এবং ইরাকে দখলকৃত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে আইএস। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় বাহিনীকে সহায়তা এবং পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে সিরিয়ায় ৯০০ এবং ইরাকে আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে।
সূত্র: রয়টার্স।