মুসা আ.-এর ইন্তিকাল নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

হজরত মুসা আ. ছিলেন বনী ইসরাঈলের বিখ্যাত নবীদের একজন। তিনি আল্লাহ তায়ালা সঙ্গে সবথেকে বেশি কথা বলতেন। এজন্য তাকে মুসা কালিমুল্লাহ বলা হয়।

নবীরা সাধারণ সমাজের মানুষদেরই একজন। তাদেরও জন্ম-মৃত্যু আছে। মুসা আ. জন্মের পর তার যুগের মানুষদের মতো দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন, তবে তিনি আসলে কতদিন জীবন পেয়েছিলেন তা নিয়ে নিয়ে মতানৈক্য আছে, কারো কারো মতে তিনি হায়াত পেয়েছিলেন আশি থেকে এক শ বছর।

কিন্তু ‘আল-কামেল ফিত তারিখ’ কিতাবের ভাষ্য মতে মুসা (আ.) ১২০ বছর হায়াত পেয়েছিলেন।

মুসা (আ.)-এর মৃত্যু কোথায় হয়েছিল এবং তাঁর সমাধি কোথায় আছে, তার বর্ণনা হাদিস শরিফে পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা রা. বলেন—

মৃত্যুর ফেরেশতাকে মুসা আ.-এর কাছে পাঠানো হলে মুসা আ. তাঁকে চপেটাঘাত করেন (যার ফলে তাঁর চোখ বেরিয়ে যায়)। তখন মৃত্যুর ফেরেশতা তাঁর প্রতিপালকের (আল্লাহর) কাছে ফিরে গিয়ে বলেন, আমাকে এমন এক বান্দার কাছে পাঠিয়েছেন যে মরতে চায় না।

তখন আল্লাহ তাঁর চোখ ফিরিয়ে দিয়ে হুকুম করেন, আবার গিয়ে তাঁকে বলো, তিনি একটি ষাঁড়ের পিঠে তাঁর হাত রাখবেন, তখন তাঁর হাত যতটুকু আবৃত করবে, তার সম্পূর্ণ অংশের প্রতিটি পশমের বিনিময়ে তাঁকে এক বছর করে আয়ু দান করা হবে।

মুসা আ. এ শুনে বলেন, হে আমার রব, অতঃপর কী হবে? আল্লাহ বলেন, অতঃপর মৃত্যু। মুসা আ. বলেন, তা হলে এখনই হোক। তখন তিনি একটি পাথর নিক্ষেপ করলে যতদূর যায় বাইতুল মাকদিসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে নিবেদন করেন।

আরো পড়ুন  ওমানে কোরআনের ১০ হাজার কপি বিতরণ করল সৌদি আরব

আল্লাহর রাসুল সা. বলেছেন, ‘আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পথের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।’ (বুখারি, হাদিস : ১৩৩৯)

এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে মুসা আ.-এর সমাধি বা মাজার বাইতুল মুকাদ্দাসের উপকণ্ঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *