মাইগ্রেনকে সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আসলে তা নয়। কারণ এর যন্ত্রণা কেবল ভুক্তভোগীই বুঝতে পারেন। মাইগ্রেন একবার শুরু হলে সেই ব্যথা ছাড়িয়ে যায় বাকি সবকিছু। কোনো কাজই তখন সহ্য হয় না। আলো আর শব্দে ব্যথা বেড়ে যায় বহুগুণ। মাইগ্রেন দূর করার কার্যকরী কোনো ওষুধও নেই। তবে এটি দূরে রাখা যায়। কিছু কাজ আছে যেগুলো করলে মাইগ্রেন সহজে কাছে ঘেঁষতে পারে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী করলে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা যায় বা আরাম পাওয়া যায়-
১. চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
মাইগ্রেন শুরু হলে প্রথমে কপালের একদিক দিয়ে যন্ত্রণা শুরু হবে। এই সমস্যা দেখা দিলে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এটি মোটেও অবহেলা করবেন না। কারণ এর সঙ্গে আরও অনেক সমস্যা জড়িয়ে থাকতে পারে। চিকিৎসকের দেওয়ার পরামর্শপত্র মেনে চলার পাশাপাশি কিছু উপায় মেনে চললে আরাম পাবেন এবং মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
২. সকালে আদা চা পান করুন
আপনার যদি মাইগ্রেন থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালের পানীয় হিসেবে বেছে নিন এককাপ আদা দেওয়া চা। পানীয় হিসেবে এটি খুবই উপকারী। আপনার মাথা যন্ত্রণা দূর করার ক্ষেত্রে আদা দেওয়া চা বেশ কার্যকরী। এটি মাইগ্রেনের সমস্যায়ও আরাম দেবে। তাই প্রতিদিন সকালে আদা দেওয়া চা পান করতে ভুলবেন না।
আসছে গরমের দিন। অনেকে তৃষ্ণায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করতে পারেন। কিন্তু এটি করবেন না। বিশেষ করে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে তা কখনোই করবেন না। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি পান করলে মাইগ্রেন আরও বেড়ে যায়। তাই এই মাথাব্যথা থেকে দূরে থাকতে এদিকে খেয়াল রাখুন। তবে শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র রাখার জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন পর্যাপ্ত।
৪. অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
অ্যালোভেরা জেলের অনেক গুণ রয়েছে। এটি কিন্তু আপনার মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। মাইগ্রেন দেখা দিলে অ্যালোভেরা জেল মাথায় মাখবেন। এতে এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে কিছুটা আরাম পাবেন। এই জেল দিয়ে কপালও ম্যাসাজ করতে পারেন। এতেও কিছুটা নিস্তার পাবেন মাইগ্রেন থেকে।
৫. নিয়মিত ঘুম প্রয়োজন
নিয়মিত ঘুম না হলে যেসব সমস্যা বাড়ে তার মধ্যে একটি হলো মাইগ্রেন। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে সবার আগে খেয়াল করুন ঘুমের রুটিনের দিকে। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করুন। আগেভাগে ঘুমাতে যান এবং আগেভাগে ঘুম থেকে উঠুন। তীব্র রোদে বের হবেন না। আর যদি বের হতেই হয় তবে ছাতা বা সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এতে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।