জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে ১৩৪ কোটি ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক ১০ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের সাবেক এসইভিপি শওকত আজিজ, সাবেক ভিপি জগলুল শাহ, সাবেক এসপিও মাঈন উদ্দীন আহমেদ, ব্যাংকটির গুলশান শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. ছাইফুল ইসলাম খান, সাবেক এসইভিপি আজাদ হোসাইন, সাবেক এসএভিপি মোহাম্মদ আবদুল মইজ, সাবেক এসপিও আশরাফি সুলতানা মালা, সাবেক পিও এস এম ইরশাদুল আবছার চৌধুরী, সাবেক ইভিপি জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর খান এবং সাবেক পিও আমিনুল ইসলাম।
এছাড়া ঋণগ্রহীতা তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফোর স্টার ট্রেড সার্ভিসেসের প্রোপাইটর এ এন এম তাইবুর রশিদ, ইনফরমেশন সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাপীর খসরু এবং মেসার্স এনার্জি ট্রেডার্সের প্রোপাইটর তাহজিব-ই-তারন্নুমকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এক মামলায় ২০১৫ সালে ফোর স্টার ট্রেড সার্ভিসেসের নামে স্থাবর সম্পদ সহায়ক জামানত ছাড়া আইন কানুন অমান্য করে এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ঋণ নিয়ে সুদাসলে ৬২ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এতে স্টার ট্রেড সার্ভিসেসের স্বত্বাধিকারী তাইবুর রশিদ ছাড়াও এবি ব্যাংকের তৎকালীন চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
আরেক মামলায় ২০১৩ সালে এবি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা থেকে একইভাবে জামানত ছাড়া ইনফরমেশন সলিউশন লিমিটেডের নামে ঋণ নিয়ে সুদাসলে ৫৬ কোটি ৫২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে ইনফরমেশন সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাপীর খসরু ছাড়াও এবি ব্যাংকের তৎকালীন আরও চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, ২০১৪ সালে আইন অমান্য করে একইভাবে ব্যাংকটির ধানমন্ডি শাখা থেকে মেসার্স এনার্জি ট্রেডার্সের নামে ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী তাহজিব-ই-তারন্নুম ও তৎকালীন ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।