ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, সড়ক-অবকাঠামো নির্মাণের কারণে যে ধুলো উৎপন্ন হয়, সেখানে যে মাটি অপসারণ করা হয় তা যেন দীর্ঘদিন পড়ে না থাকে সে লক্ষ্যে আমরা ঠিকাদারদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি। ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬-তলা নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ তাপস বলেন, ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণের জন্য সূচি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রথমত, আমরা নিয়মিতভাবে মূল সড়কগুলোতে সকাল থেকে পানি দিচ্ছি। দ্বিতীয়ত, আমাদের যে উড়াল সেতু আছে সেগুলো সাকার যন্ত্র দিয়ে পুরোটা পরিষ্কার করছি। তারপরেও আমরা লক্ষ্য করি, নির্মাণাধীন ভবনসহ নানাবিধ সংস্কার কাজের ফলে ধুলোবালি উৎপন্ন হচ্ছে। আমরা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করছি যেন ভবন নির্মাণকালে অবশ্যই বেষ্টনী দিয়ে সেগুলোকে ঢেকে রাখা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে জীবাশ্ম জ্বালানি আমরা ব্যবহার করি সেটি অত্যন্ত নিম্নমানের এবং আমাদের দেশে বায়ু দূষণের মূল কারণই হলো নিকৃষ্ট মানের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। ঢাকা শহরে যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেটিতে সালফারের যে মাত্রা তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।
মেয়র বলেন, আমরা দেখেছি— ইউরোপের জীবাশ্ম জ্বালানিতে সালফারের পরিমাণ থাকে ১৫ পিপিএমের নিচে। সেখানে আমাদের দেশে তা ৫০ পিপিএম ঊর্ধ্বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ৫০০ পিপিএম ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সেগুলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। আমরা চাই না, ঢাকা শহরে এ ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি আর ব্যবহৃত হোক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ।