প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে এমন কোনো কারাগার নেই, যেখানে বিএনপির কর্মীরা বন্দি নেই। এই আটকও একটি বাণিজ্য। আত্মীয় স্বজনরা দেখা করতে গেলে টাকা, খাবার দিতে গেলে টাকা, আদালতে এনে রিমান্ড না নেওয়া জন্য টাকা। এ রকম অনেক খাত আছে। প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (৮ মে) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়। খুনি, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রক্ষা করাই যেন প্রশাসনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ বিচারের আগেই পুলিশ মানুষের হাত-পা ভেঙে বিচার করছে। পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীরা থানায় ঢুকে বিএনপি নেতাকর্মীদের পেটাচ্ছে। কোনো বিচার নেই।

বাজেটে জনগণের জন্য কিছু নেই, লুটের পরিকল্পনা করা হয়েছে : ফখরুল
তিনি বলেন, যে দেশে আইনের শাসন নেই সেই দেশে জনগণ বিচার চাইবে কার কাছে। বিচারপতিই স্বাধীন নন। সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে দেশ ত্যাগ করতে হয়। একজন জোর গলায় বললেন, এসকে সিনহাকে কীভাবে দেশ ত্যাগ করিয়েছিলাম। তারপর থেকে বিচারপতিরা তাকে সালাম দিচ্ছেন।

নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রেস-সচিবের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, যাকে প্রেসসচিব করা হয়েছে তিনি একজন রাজাকারের ছেলে। যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। এখন এসব প্রশ্নের জবাব কে দেবে? এরা তো নির্বাচিত সরকার নয়। তাই তারা জনগণের কাছে জবাব দিতে বাধ্য নয়।

আরো পড়ুন  সিলেটেরর ১৯ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ১৪৮ জন

আমেরিকা বা কোনো রাষ্ট্র দেশের কারও বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা জাতীর জন্য লজ্জার উল্লেখ করে বিএনপি এই নেতা বলেন, কিন্তু সরকার লজ্জা পায় না। বেনজীর র‌্যাব ডিজি থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে উত্তরা থেকে আটক করল। তার তিনমাস পর ভারতে তাকে পাওয়া গেলো। এটি কীভাবে সম্ভব হলো? কেন তদন্ত করা হলো না। সরকার কি বিষয়টি জানত না?

এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনার একসময় সর্বহারা পার্টি করতেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন। আনার যে খুন হয়েছেন তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। তার শরীরের টুকরো এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর যদি খুন হয়েই থাকে তাহলে তাকে খুনের দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে খুনিরা কেন তাকে খুন করল তা কেন প্রকাশ করছেন না?

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা সেলিম রেজা, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *